Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে উদ্বেগ
বিস্তারিত

শিক্ষা আমার অধিকার, এই অধিকার সবার চাই; শিক্ষা-বাণিজ্য একসঙ্গে চলে না; তিন ধারার শিক্ষা নয়, এক ধারার শিক্ষা চাই। বর্তমান সরকার তার শেষ সময়ে এসে শিক্ষাকে সৃজনশীল এবং শিক্ষার্থীর মেধা ও মনন বিকাশে, নোটবই, প্রাইভেট ও কোচিং বন্ধ করতে শিক্ষা আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। আর এ আইনের মধ্যেই রয়েছে শিক্ষা সংকোচন নীতি, যা আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার বিবেচনায় গুরুতর হুমকি।
প্রাথমিক শিক্ষাকে বলা হয় শিক্ষার্থীর ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভিত্তি। আর সেখানেই আমাদের জাতি তিন ভাগে বিভক্ত। ফলে কোনো একটি বিষয়ে কখনো সাধারণভাবে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারি না। দ্বিতীয়ত, ‘টাকা যার, শিক্ষা তার’। শিক্ষা কোনো প্রসাধনসামগ্রী নয় যে, যার টাকা আছে সে-ই শুধু শিক্ষা কিনে বিলাসিতা করবে। আইনে বলা আছে, প্রাথমিক শিক্ষার পরবর্তী শিক্ষার স্তরের আর্থিক দায়িত্ব সরকার বহন করবে না। অর্থাৎ শিক্ষা সবার জন্য নয়। কোনো দেশপ্রেমিক মানুষ সরকারের এ শিক্ষা আইন মেনে নেবে না। শিক্ষা আইনের এ ধারা প্রণয়ন হলে দেশের সামগ্রিক অবস্থা আরও পিছিয়ে যাবে।
দেশে এখনো প্রায় ৪০ হাজার গ্রামে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। শিক্ষকদের স্বতন্ত্র কোনো বেতনকাঠামো নেই। শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সে বিষয়ে সরকারের কোনো পদক্ষেপও নেই। তাঁরা এসি রুমে আছেন শিক্ষা আইন প্রণয়ন নিয়ে ব্যস্ত। কীভাবে এ দেশের গরিব মেহনতি মানুষ ও শিক্ষকদের কীভাবে শ্রম শোষণ করা যায়, সে আইন করা নিয়ে ব্যস্ত।
তাঁদের সন্তানেরা কেউ তো এ দেশে লেখাপড়া করে না। বিদেশে থেকে লেখাপড়া করে দেশে ফিরবে তাঁদের উত্তরসূরি হিসেবে এ দেশের গরিব মেহনতি মানুষগুলোকে শোষণ করতে। ফলে এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা থাকলেই বা কী আর ধ্বংস হলেই বা কী? তাতে তাদের কিছুই আসে যায় না। শিক্ষা নিয়ে এ আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। শিক্ষা হবে সবার জন্য, মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার ধারা হবে একটি।
শিক্ষার আর্থিক দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। শিক্ষা-বাণিজ্য একসঙ্গে চলে না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শুধু বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সন্ধ্যাকালীন কোর্স চালু করা যাবে না। যারা এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকল্যাণ বিভাগে মাস্টার্সে সন্ধ্যাকালীন কোর্সে শুধু ফি দুই হাজার ২৫০ টাকা। এটা খুবই উদ্বেগজনক ও লজ্জাজনক। শিক্ষার এ বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে।

ছবি
ডাউনলোড